রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জাতীয় মহাসমাবেশের প্রথম পর্ব শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে উদ্যানের মূল অংশ নেতাকর্মীতে ভরে গেছে। সংস্কার, বিচার ও পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে এ মহাসমাবেশ সফলে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি।
শনিবার সকাল ১০ টার পর পবিত্র কোরআন তেলোয়াতের মধ্য দিয়ে মহাসমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয় বলে দলটির কেন্দ্রীয় সহকারী প্রচার সম্পাদক কেএম শরীয়াতুল্লাহ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রথম পর্বে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখবেন। দুপুর ২ টায় শুরু হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। সমাবেশে জাতীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখবেন। এ উপলক্ষে সারাদেশ থেকে ব্যাপক লোকসমাগমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
এদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে দুপুর ২টায় মূল অধিবেশন শুরুর কথা থাকলেও সকাল থেকেই সারাদেশ থেকে আগত নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মূল মাঠ পরিপূর্ণ হয়ে যায়। সকাল ১০টায় কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় প্রথম পর্ব। এ পর্বে সারাদেশ থেকে আগত জেলা-মহানগর নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখছেন।
সূত্রমতে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকেই সংস্কার, বিচার ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে লাগাতার প্রচার ও গণসংযোগ চালিয়ে আসছে। এ লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নানামুখী আলোচনা চালিয়ে আসছিল দলটি। এ ব্যাপারে জনসমর্থন তৈরি হয়েছে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এক ধরনের সমন্বয়ও হয়েছে। আজকের মহাসমাবেশ সংস্কার, বিচার ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের পক্ষে একটি শক্তিশালী উপস্থাপনা হবে।
মহাসমাবেশের মাঠ পরিদর্শন শেষে প্রস্তুতি সম্পর্কে গতকাল শুক্রবার প্রেস ব্রিফিংয়ে মহাসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম জানিয়েছিলেন, সারা দেশে কয়েক হাজার গাড়ি রিজার্ভ করা হয়েছে। গাড়ি, লঞ্চ ও ট্রেনে করে কয়েক লাখ জনতা সোহরাওয়ার্দী ময়দানে জমায়েত হবেন ইনশাআল্লাহ।
দলটির যুগ্ম মহাসচিব ও দলীয় মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, আগামী রাজনীতির একটি নতুন বার্তা পাওয়া যাবে মহাসমাবেশ থেকে। তিনি বলেন, মহাসমাবেশে ফ্যাসিবাদবিরোধী এবং পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে একমত, এমন দলের নেতাদের দাওয়াত দেওয়া হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম